মালদা

এক মহিলার বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ালো আলাল অঞ্চলে

এক মহিলার বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল গাজোলের আলাল অঞ্চলের সুলতানপুর এলাকায়। মহিলার নাম ঊর্মিলা মহলদার (৫৩), তিনি পেশায় দিন মজুরের কাজ করতেন। এদিন সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় তার নিজস্ব ঘর থেকে। 
    জানা যায়, মৃতা ঊর্মিলা মহলদারের পরিবারে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। স্বামী বছর ১৫ আগেই মারা গেছেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, এদিন সকালে মায়ের ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় ঊর্মিলার বড় মেয়ে পিঙ্কি মাঝি তার মাজে ডাকতে যান। কোন সারা শব্দ না পেয়ে ঘরে ভেতরে ঢুকে পিঙ্কি। ঘরে ঢোকা মাত্র দেখতে পায় বিবস্ত্র অবস্থায় তার মায়ের নিথর মৃতদেহটি পরে রয়েছে ঘরের মধ্যে। আর সেই ঘরের কয়েকটি টালি খোলা রয়েছে। তাদের অনুমান কেউ বা কারা ঘরের টালি খুলে ঘরে ঢুকে ঊর্মিলা মহলদারকে খুন করে সামনের দরজা খুলে পালিয়ে যায়। 
    পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, ঊর্মিলা তার ছোট মেয়ের শ্বশুর নারায়ন মাঝির সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিল। এই নিয়ে গ্রামে অনেক বার বিচার সালিশি করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও তারা স্বামী স্ত্রীর মতো থাকা শুরু করেছিল। অবশেষে সকলেই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা বন্ধ করে দেন এবং তাদের দুজনকে নিজের মতো থাকতে দেন।
    খুনের ঘটনার দিন ঊর্মিলা পদাবলী কীর্তন শুনে রাতে ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসেন, তারপর সকালেই এই নৃশংস খুনের ঘটনা। তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় নারায়ন মাঝিকে সন্দেহ করছে মৃতার পরিবারের সদস্যরা।
    ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় গাজোল থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে গাজোল থানায় নিয়ে আসা হয়, পরে সেখান থেকে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিবারের দাবি যারা ওই মহিলাকে খুন করেছে তাদের শাস্তি দেওয়া হক। থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ার করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে, ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই খুনের ঘটনার জেরে মৃতার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।